Dr. Jasser Auda
×
Languages

রাজনীতির সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক

  লিখেছেন: জোবায়ের আল মাহমুদ  জেএসবি টুয়েন্টিফোর  ডেস্ক :: ‘ইসলাম ও রাজনীতি’ প্রসঙ্গে কেউ মনে করেন, প্রচলিত ব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলে ‘আদর্শ ইসলামী ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করাই হলো একমাত্র করণীয়। আবার কেউ মনে করেন, রাজনীতির মধ্যে ইসলামকে টেনে আনা মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু স্বয়ং ইসলাম ব্যাপারটিকে কীভাবে দেখে, তা নিয়ে সমাজে স্বচ্ছ ধারণার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। গত ২০ মে ২০১৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ADAMS সেন্টারের জুমার খুতবায় শায়খ ড. জাসের আওদারাজনীতির সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। সিএসসিএস-এর পাঠকদের জন্য বক্তব্যটি অনুবাদ করেছেন জোবায়ের আল মাহমুদ।   গণসম্পৃক্ততা ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্যে আমরা একটি নির্দেশনা তৈরি করেছি। আজকের বক্তব্যটি সেই প্রশিক্ষণেরই অংশ। বিশেষত, আমাদের নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও শিক্ষকদের মধ্যে যারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এ বক্তব্য তাদের জন্যে। একটি অনুষ্ঠানে আজকের  এই বক্তব্যের ঘোষণাটি দেয়ার পর বেশ কয়েকজন ভাইবোনের কাছ থেকে আমি কিছু প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। একজন বলেছেন, ‘ইসলাম ও রাজনীতি’ প্রসঙ্গটি নিয়ে মসজিদে আলোচনা করা উচিত নয়। এই ভাইয়ের যুক্তি হলো, রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার তুলনায় মসজিদ খুবই পূত-পবিত্র জায়গা। আরেকজন ভাই বলেছেন, রাজনীতি কোনোভাবেই ইসলামী রীতি নয়। মুসলমান হয়ে আমরা কেনো এতে জড়াবো? এসব অনৈসলামী পদ্ধতি থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত। আবার অন্য একজনের প্রতিক্রিয়া ছিল এর বিপরীত। তাঁর মতে, অমুক-অমুক প্রার্থী কিংবা অমুক-অমুক দলকে প্রমোট করার জন্য এই আলোচনা একটা বিশাল সুযোগ।   কোনো ব্যাপারে আমি কী বলেছি, সমসাময়িক বা অতীতের গবেষকরা কী বলেছেন, কিংবা ইসলামী চিন্তার জগতে কোনো ধারণা কীভাবে...

Read More

আন্তর্জাতিক ইসলামি চিন্তাবিদ ড. জাসের আওদা

জোবায়ের আল মাহমুদ ই সলামের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধকে আধুনিক সময়ে নতুনভাবে আবার ফিরিয়ে আনার জন্যে দিনরাত সাধনা করে যাচ্ছেন ড. জাসের আওদা। তিনি একাধারে একজন বিশ্ব বিখ্যাত বক্তা, লেখক, চিন্তাবিদ, গবেষক, দার্শনিক, মুফতি ও কোর’আনে হাফেজ। আরবি, ইংরেজি ও ফরাসী ভাষায় তিনি বক্তৃতা করেন এবং লেখালেখি করেন। বর্তমানে লন্ডনের ইসলামি শরীয়া ও গবেষণা মূলক একটি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে এবং সাউথ আফ্রিকার ‘আন্তর্জাতিক পিস কলেজে’ শরীয়া বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি কানাডা ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। ড. জাসের আওদা মিশরের কায়রোতে, ১৯৬৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। শিশু বয়সেই তিনি সম্পূর্ণ কোর’আন মুখস্থ করেন। এরপর মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি হাদিস ও ফিকাহ অধ্যয়ন করেন। মিশরে পড়াশুনা শেষ করে তিনি উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে গমন করেন। এবং যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ‘ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ‘ইসলামি আইনের দর্শন’ বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এখানেই তাঁর পড়াশুনা শেষ হয়ে যায়নি। তিনি আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করার জন্যে কানাডা গমন করেন এবং কানাডার ‘ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ‘পদ্ধতিগত গবেষণা’ বিষয়ে আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি ‘Inteational Union of Muslim Scholars’ নামক আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলারদের এই সংস্থায় বোর্ড মেম্বর হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর তিনি ইউরোপের ‘ফতোয়া ও গবেষণা কাউন্সিলের’ সদস্য হিসেবে মনোনীত হন এবং কিছু দিন লন্ডনের ‘মাকাসিদে শরীয়া সেন্টারে’ দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও কাতারের ‘Center for Islamic Ethics’এবং ভারতের ইসলামি শরীয়া ও ফিকাহ একাডেমিতে তিনি কাজ করছেন দীর্ঘ দিন থেকে। কর্মজীবনে...

Read More

মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ: দ্বিতীয় অধ্যায়

বর্তমানে যেসব মুসলিম দেশের মসজিদে নারীদের জন্যে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব মসজিদের একই কক্ষে পুরুষদের পেছনে নারীদেরকে কদাচিৎই দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়া হয়। অথচ রাসূলের (সা) যুগে মসজিদের একই কক্ষে নারীরা পুরুষদের ঠিক পেছনে নামাজ আদায়ের জন্যে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতেন।

Read More

মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে মসজিদ ও নারী প্রসঙ্গ: অনুবাদকের ভূমিকা (পর্ব-১)

ইসলামী সমাজের কেন্দ্র হলো মসজিদ। মসজিদ কেবল ইবাদতের স্থানই নয়, এটি ইসলামী সমাজের একটি প্রতিচ্ছবিও বটে। ইতিহাসে ফিরে তাকালে আমরা দেখব, রাসূল (সা) মদীনায় যাওয়ার পর সর্বপ্রথম একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তারপর গড়ে তুলেছিলেন মদীনার সমাজ। মদীনায় একটি নতুন সমাজ গড়ার জন্যে মসজিদকে তিনি কর্মস্থল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। নতুন কোনো সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসহ সকলের অংশগ্রহণ থাকতে হয়। রাসূল (সা) মদীনায় ঠিক সেই কাজটিই করেছিলেন। মদীনার মসজিদে তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করেছিলেন। বিশেষত, নারীদের অংশগ্রহণকে রাসূল (সা) খুবই গুরুত্বের সাথে দেখেছিলেন। নামাজ আদায়ের জন্যে নারীদের মসজিদে প্রবেশ, মসজিদ পরিচর্যার কাজে নারীদের নিয়োগ এবং সামাজিক সিদ্ধান্ত...

Read More

Follow us on Facebook